স্টাফ রিপোর্টার ॥ গতকাল বুধবার ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলে প্রতিদিন দু’টি করে মালবাহী পার্সেল ট্রেন চালু করা হয়েছে। এতে ব্যবসায়ীদের মধ্যে ব্যপক সারা জেগেছে। কড়া লকডাউন চলাকালে মালামাল তাদের গন্তব্যে নেওয়ার ব্যবস্থা নিশ্চিত করনের ফলে কোন কোন ব্যবসায়ী রেলকর্তৃপক্ষকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।পাকশী বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মোঃ নাসির উদ্দিন এর অফিসের দায়িত্বশীল সূত্রে এসব তথ্য জানাগেছে।
সুত্রমতে,প্রথম পার্সেল ট্রেনটি পাকশী বিভাগের খুলনা থেকে বুধবার বিকেল ৪ টা ৪৫ মিনিটে ছেড়ে দেওয়ার পর বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা ৩০ মিনিটে চিলাহাটি স্টেশনে পৌঁচেছে। ট্রেনটি পথিমধ্যে যশোর, কোটচাঁদপুর, সবদারপুর, চুয়াডাঙ্গা, নাটোর,আক্কেলপুর, জয়পুরহাটসহ মোট ২৪ টি স্টেশনে বিরতি নেয়। আবার ঐ ট্রেনটি ফেরার পথে চিলাহাটি থেকে খুলনা আসতে ট্রেনটি ২৮ টি স্টেশনে থামবে। শনি, সোম,বুধ বার খুলনা হতে ও রবি, মঙ্গল,বৃহস্পতি বার চিলাহাটি হতে ট্রেনটি ছাড়বে। আবার একই সময়ে মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে আরও একটা পার্সেল স্পেশাল ট্রেন ছেড়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার পর ভোর ৩টায় ঢাকায় পৌঁছাবে। এই ট্রেনটি আবার ঢাকা থেকে ঢাকা হতে সন্ধ্যা ৬টায় ছেড়ে সকাল ৮ টা ৩৩ মিনিটে পঞ্চগড়ে পৌঁছাবে। আপ এবং ডাউন উভয় পথে ২১ টি স্টেশনে ট্রেনটি থামবে। সপ্তাহে শনি, সোম ও বুধ বার পঞ্চগড় থেকে এবং রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতি বার ঢাকা থেকে ট্রেনটি চলাচল করবে। খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটির দুটি কোচ ঢাকাগামী পণ্যের জন্য নির্ধারিত থাকবে। এই কোচ দুটি ঈশ্বরদী স্টেশনে কেটে রাখা হবে। পরে পঞ্চগড় থেকে ঢাকা গামী ট্রেনে সংযুক্ত হয়ে ঢাকা চলে যাবে। ফলে খুলনা থেকে ঢাকা রুটে সরাসরি কোন পার্সেল ট্রেন চলাচল না করলেও যশোর- চুয়াডাঙ্গার জনগণ ঢাকায় পণ্য প্রেরন করতে পারবেন। যদি কৃষকের পণ্যের সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকে তবে টাইম টেবিলে উল্লেখিত স্টেশনের বাইরেও ট্রেন গুলোর স্টপেজ দেয়ার কথা বলা হয়েছে। লক ডাউন পরিস্থিতির মধ্যে যেন কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত পণ্য সাশ্রয়ী মূল্যে ভোক্তার নিকট পৌঁছে দিতে পারেন সে জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে গত বছরের ন্যায় এবারও পার্সেল স্পেশাল ট্রেন চালু করেছে। গত বছর পার্সেল স্পেশাল ট্রেন ও ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন জনগণের মধ্যে ব্যাপক সারা ফেলেছিল।#
No comments